Hi

ঢাকা, বাংলাদেশ ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াঘাটে প্রতিরক্ষা কলোনীর জমি অবৈধ দখল ও উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধিগ্রহণ করা ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফছারাবাদসহ নুরজাহানপুরের ৫টি কলোনীর জমি অবৈধ ও ভূমি দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধারের দাবিতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অবঃসার্জেন (সেনা) আবুল হোসেন, লেন্স.কর্পোরাল হায়দার আলী, রশিদ,রুহুল আমিন,কর্পোরাল আজগর আলীসহ সৈনিক আ.আজিজ প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৎকালীন ভারতীয় মুসলিম সৈনিকগণ পূর্ব পাকিস্থানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারবর্গকে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে তৎকালীন সরকার ৬৮/৪ অফ ৫২-৫৩ নং এল.এ কেস মূলে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৩৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে বসবাস ও চাষাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২৬৪ মহাজের পরিবারকে অস্থায়ী ভিত্তিতে টোকেন/ স্লিপের মাধ্যমে ৫ একর করে জমি বরাদ্দ দেয়। পরে ১৯৬৫ সালে কিছু মহাজেন পরিবার দেশত্যাগ, নিখোঁজ ও নিহত হন। ফলে প্রতিরক্ষা কলোনীর জমিগুলো খালি পড়ে থাকে। এ সুযোগে কিছু অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যুরা জমি দখল করে জাল দলিল তৈরী করে নদী ভাঙ্গন কবলিত লোকদের নিকট বিক্রি করে আসছে। আমরা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক পরিবারের লোকজন বৈধভাবে লিজ নিয়েও অনেক সময় দখলে আসতে পারছিনা।

বক্তৃতায় আরও বলা হয়, সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘোড়াঘাট পৌরশহরের ওসমানপুরে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা তার বিরোধীতা করছে। এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জোড় দাবী জানান তাঁরা। এছাড়া স্থায়ীভাবে সেনা ক্যাম্প স্থাপন সহ বরাদ্দকৃত লিজ জমি উদ্ধারের দাবিও জানানো হয়।

ট্যাগ :

মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ই-মেইল সহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হবে।

About Author Information

ডিসেম্বরেই নির্বাচন, না হলে সহযোগিতা প্রত্যাহার : বিএনপি

© সর্বস্বত স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Jonogoner Khobor - জনগণের খবর
                                  কারিগরি সহযোগিতায়ঃ মো. সাইফুল ইসলাম                                  

ঘোড়াঘাটে প্রতিরক্ষা কলোনীর জমি অবৈধ দখল ও উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট : ০২:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধিগ্রহণ করা ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফছারাবাদসহ নুরজাহানপুরের ৫টি কলোনীর জমি অবৈধ ও ভূমি দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধারের দাবিতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অবঃসার্জেন (সেনা) আবুল হোসেন, লেন্স.কর্পোরাল হায়দার আলী, রশিদ,রুহুল আমিন,কর্পোরাল আজগর আলীসহ সৈনিক আ.আজিজ প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৎকালীন ভারতীয় মুসলিম সৈনিকগণ পূর্ব পাকিস্থানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারবর্গকে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে তৎকালীন সরকার ৬৮/৪ অফ ৫২-৫৩ নং এল.এ কেস মূলে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৩৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে বসবাস ও চাষাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২৬৪ মহাজের পরিবারকে অস্থায়ী ভিত্তিতে টোকেন/ স্লিপের মাধ্যমে ৫ একর করে জমি বরাদ্দ দেয়। পরে ১৯৬৫ সালে কিছু মহাজেন পরিবার দেশত্যাগ, নিখোঁজ ও নিহত হন। ফলে প্রতিরক্ষা কলোনীর জমিগুলো খালি পড়ে থাকে। এ সুযোগে কিছু অবৈধ দখলদার ও ভূমি দস্যুরা জমি দখল করে জাল দলিল তৈরী করে নদী ভাঙ্গন কবলিত লোকদের নিকট বিক্রি করে আসছে। আমরা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক পরিবারের লোকজন বৈধভাবে লিজ নিয়েও অনেক সময় দখলে আসতে পারছিনা।

বক্তৃতায় আরও বলা হয়, সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘোড়াঘাট পৌরশহরের ওসমানপুরে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা তার বিরোধীতা করছে। এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জোড় দাবী জানান তাঁরা। এছাড়া স্থায়ীভাবে সেনা ক্যাম্প স্থাপন সহ বরাদ্দকৃত লিজ জমি উদ্ধারের দাবিও জানানো হয়।