Hi

ঢাকা, বাংলাদেশ ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি এখন ময়মনসিংহের ওসি

নোয়াখালী জেলায় ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে ২০২৪ সালে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন সেনবাগ থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান। অথচ সেই মিজানুর রহমানকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাকে এর আগে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হিসাবে পদায়ন করা হয়েছিল। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তিনি ভালুকা মডেল থানা থেকে গত ১৯ মে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি মিজানুর রহমান

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, ওসি স্যার দায়িত্ব বুজিয়ে দিয়ে সাত দিনের ছুটি গিয়েছেন। হিসাবে যোগদান করেছেন। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট, রবিবার রাতে বিএনপি নেতা নুরনবী ব্যচ্চু বাদী হয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯২, ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩৪২/৩৬৫/ ৩৮৬/৩৮০/১৭০/৪২৭/৫০৬/১১৫ দন্ডবিধি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয় এবং ক্রসফায়ার-এর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হয়। ওই মামলায় প্রধান আসামী তৎকালীন ওসি মিজানুর রহমানসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন।

সেনবাগ থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ  জানান, ২০১৮ সালের ঘটনায় একটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এই মামলার ২-এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি এখন তদন্ত কর্মকর্তা আমি। এই মামলায় আমার থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান স্যার ১নং আসামী। স্যার এখনো জামিন নেয়নি। এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তার সরকারি নম্বরে ফোন করা হলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, “স্যার যোগদান করেই ছুটিতে গিয়েছেন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর মেলেনি। এজাহারভুক্ত পলাতক একজন আসামি কীভাবে পুনরায় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদে বহাল থাকেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিত্রিনয়া দেখা দিয়েছে।

ট্যাগ :

মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ই-মেইল সহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হবে।

About Author Information

ডিসেম্বরেই নির্বাচন, না হলে সহযোগিতা প্রত্যাহার : বিএনপি

© সর্বস্বত স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Jonogoner Khobor - জনগণের খবর
                                  কারিগরি সহযোগিতায়ঃ মো. সাইফুল ইসলাম                                  

এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি এখন ময়মনসিংহের ওসি

আপডেট : ০১:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নোয়াখালী জেলায় ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে ২০২৪ সালে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন সেনবাগ থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান। অথচ সেই মিজানুর রহমানকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাকে এর আগে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হিসাবে পদায়ন করা হয়েছিল। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তিনি ভালুকা মডেল থানা থেকে গত ১৯ মে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি মিজানুর রহমান

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, ওসি স্যার দায়িত্ব বুজিয়ে দিয়ে সাত দিনের ছুটি গিয়েছেন। হিসাবে যোগদান করেছেন। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট, রবিবার রাতে বিএনপি নেতা নুরনবী ব্যচ্চু বাদী হয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৯২, ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩৪২/৩৬৫/ ৩৮৬/৩৮০/১৭০/৪২৭/৫০৬/১১৫ দন্ডবিধি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয় এবং ক্রসফায়ার-এর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হয়। ওই মামলায় প্রধান আসামী তৎকালীন ওসি মিজানুর রহমানসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন।

সেনবাগ থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ  জানান, ২০১৮ সালের ঘটনায় একটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। এই মামলার ২-এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি এখন তদন্ত কর্মকর্তা আমি। এই মামলায় আমার থানার সাবেক ওসি মিজানুর রহমান স্যার ১নং আসামী। স্যার এখনো জামিন নেয়নি। এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তার সরকারি নম্বরে ফোন করা হলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, “স্যার যোগদান করেই ছুটিতে গিয়েছেন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর মেলেনি। এজাহারভুক্ত পলাতক একজন আসামি কীভাবে পুনরায় থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদে বহাল থাকেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিত্রিনয়া দেখা দিয়েছে।