ফয়সাল রহমান জনি: ঈদ উপহার পেয়ে খুশী গাইবান্ধার অসহায় ও দুস্থ মানুষরা। পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে দুই শতাধিক অসহায় ও দুস্থদের মাঝে সেমাই, চিনি, দুধ, আটা, মুড়ি সহ বিভিন্ন ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে গাইবান্ধা নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা।
মঙ্গলবার সকালে শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, আসাদুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মনিরুল হক, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা, নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা’র সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম, ডা. রশিদুল হাসান বকুল, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম আল সাম্য, সহ-সভাপতি ফয়সাল রহমান জনি, সাধারণ সম্পাদক কায়সার প্লাবন, দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় সাহা, কোষাধ্যক্ষ মশিউর রহমান মিঠু, সদস্য কাবির হোসেন, আব্দুল মান্নাফ, এস এম শাকির হায়দার (পিয়াস), পাভেল আহমেদ জনি সহ সংস্থার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সোহাগ নামে এক সুবিধাভোগী বলেন, আমি একজন কৃষক। চাষাবাদ করি। নারী ও শিশু কল্যান সংস্থা’র ঈদ উপহার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। খুব ভাল লাগছে। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারব। এই উপহার না পেলে কিনতে খুব কষ্ট হতো। আমি নারী ও শিশু কল্যান সংস্থা’র সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করছি।
নারী ও শিশু কল্যান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কায়সার প্লাবন বলেন, আমাদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সমাজে অবহেলিত ও নির্যাতনের শিকার নারী ওশিশুদের আইনি সহায়তা দিয়ে আসছি। সে সাথে রাস্তায় পড়ে থাকা বেওয়ারিশ লাশদের দাফন করে থাকি। ঈদে গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষরা টাকার অভাবে ঈদের সকালের খাবার কিনতে পারেনা। তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজকের এই ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, রাস্তায় অনেক বেওয়ারিশ লাশ পড়ে থাকে অথচ তা দাফন বা সৎকার করার মতো কেউ থাকেনা। নারী ও শিশু কল্যান সংস্থা তা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ। এটা একটা পরিবারের জন্য তেমন কিছু না। তাদের পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এই আয়োজন। এই মানুষিকতা যেন সমাজের প্রতিটি মানুষের হয়। তাদের সুখে আমরা যেন সব সময় এগিয়ে আসতে পারি৷ নারী ও শিশু কল্যান সংস্থা যে উদ্দেশ্যে বা লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা যেন বাস্তবে রুপ নেয়। আমি আপনাদের পাশে আছি এবং সবসময় থাকব।