আব্দুর রউফ ভূঁইয়া: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বৈরাগীর চরের আব্দুস ছাত্তার (৪২) কে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান দুই আসামিকে কটিয়াদী উপজেলার মশুয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা।
এ ঘটনায় র্যাব জানায়, ভিকটিম মৃত আব্দুস সাত্তার (৪২) কটিয়াদী থানার বৈরাগীরচর আনন্দ বাজারে মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন গত ০৯/১০/২০২৩ ইং
তারিখ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিম দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা করার সময় বিবাদীদের সাথে দেখা হয়।ভিকটিমের সাথে বিবাদীদের জমির সীমানা প্রাচীর নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।বিবাদীরা তখন বিরোধীয় ভূমিতে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ওয়াল নির্মান করছিল।তখন ভিকটিম বিবাদীদের কাজে বাধা দিয়ে মাটি কেটে ওয়াল নির্মান করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মৃত্যুর উদ্দেশ্যে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি ভাবে চর, থাপ্পর, কিল, ঘুষি মারতে শুরু করে।বিবাদীদের এলোপাথাড়ি আঘাতের ফলে ভিকটিম গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে ঢলে পড়লে ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ পারভীন বেগম তার স্বামীর ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন এবং গুরুতর আহত স্বামীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সিএনজি যোগে দ্রুত ভাগলপুরস্থ জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ পারভীন বেগম (৩৬) বাদী হয়ে কটিয়াদী থানায় ০৭ জন বিবাদীর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।বিষয়টি লোকমুখে প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
থানায় হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। উক্ত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে উক্ত মামলার আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ১ ও ২ নং আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪ সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় র্যাব -১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল যৌথ ভাবে কটিয়াদী উপজেলার মশুয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক ১ নং আসামী মোঃ আক্রাম (২৫), পিতা-মোহাম্মদ আলী এবং এজাহার নামীয় ২ নং আসামী মোহাম্মদ আলী (৫৫), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন ওরফে দুধু মিয়া, উভয় সাং- বৈরাগীরচর, থানা- কটিয়াদী, জেলা- কিশোরগঞ্জদ্বয় কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উল্লিখিত হত্যার বিষয়ে র্যাবের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।র্যাব জানায় উক্ত ঘটনায় পলাতক বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।