সাইফুল ইসলাম তরফদার, ময়মনসিংহঃ লাইফ স্টাইল এন্ড হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় ” Realistic Evaluation of the health education intervention delivery approach and identification of the challenges for targeted audience ” এর বাস্তবায়িত জরিপ কাজের অংশ হিসেবে এক ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন “FGD” এর আয়োজন করা হয়।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে এক্সপার্ট কমিউনিকেশনের তত্তাবধানে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ অভিজিৎ লোহ,মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেদাউর রহমান খান,ডাঃ তোবাউল জান্নাত,সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন ,জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার শাহ আলম, জেলা ওয়ার্কস তত্ত্বাবধায়ক মোঃ গোলাম ইয়াহিয়াসহ
সুশীল সমাজ, প্রতিনিধিগণ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, কনফার্ম ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও এক্সপার্ট কমিউনিকেশন প্রতিনিধি মো: জুম্মান সিদ্দীক, এনামুল হক রানা এবং আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন,খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।নিয়মিত ব্যয়াম ও হাটাচলা করতে হবে।আরও বেশি বেশি আমাদের প্রচার করতে হবে।২৫/৩০ বছর বয়সের মানুষের ডায়বেটিস হয়ে যাচ্ছে।নিয়মিত ওষুধের বিকল্প নাই এবং কাউন্সিলিং এর কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন,আর্থিক সচ্ছলতা হওয়ার কারণে মানুষ হাটতে চায় না। অর্থনীতি উন্নত হওয়ায় কারণে মানুষ ফাস্টফুডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বিল বোর্ডের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। বিশেষ করে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সহজে শিখতে ও জানতে পারবে।
অন্যান্য উপস্থিত প্রতিনিধিগন অগ্নি কান্ডে জানমালের ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে ও শিল্প কারখানাতে। অগ্নি দূর্ঘটনা প্রতিরোধের বিষয় গুলো নিয়ে সচেতনতা মুলক কার্যক্রম আরও বেশি করে নিতে হবে। শহরে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজের পরিবারের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। উপস্থিত সকলেই একটি বিষয় মতামত প্রদান করেন যে বর্তমানে স্যোসাল মিডিয়ার যুগে ভিডিও ডকুমেন্টস নিয়ে করে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করলে সহজে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাহলে মানুষ সচেতন হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এক্সপার্ট কমিউনিকেশনের মো: জুম্মান সিদ্দিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে লাইফস্টাইল হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের লাইন ডিরেক্টর ডাক্তার মিজানুর রহমান আরিফ গবেষণা প্রকল্পটি সমন্বয় করছেন।