Hi

ঢাকা, বাংলাদেশ ০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মে মাসে রেমিট্যান্স এলো ২৯৭ কেটি ডলার

ঈদের আগের মাস মেতে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। আর একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে গত ঈদের আগের মাস মার্চে। মূলত অর্থপাচার কমে যাওয়ায় হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমেছে। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় ব্যাপক বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৭৫১ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার। এর মানে ১১ মাসে বেশি এসেছে ৬১৩ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারভিত্তিক করার পরও ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে ডলার। আগের মতো ডলার নিয়ে হাহাকার নেই ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থপাচারে ঠেকাতে কড়াকড়ি করছে সরকার। আগের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থপাচারে শীর্ষ সন্দেহভাজন শেখ হাসিনা পরিবার ও ১১ ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে ১১টি যৌথ তদন্ত চলমান আছে। এরই মধ্যে এসব ব্যক্তিদের ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে।

রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে যা কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে। আগে যেখানে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছিল, এখন বাড়ছে। টানা ২০ মাস পর গত এপ্রিল শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ই-মেইল সহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হবে।

About Author Information

© সর্বস্বত স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Jonogoner Khobor - জনগণের খবর
                                  কারিগরি সহযোগিতায়ঃ মো. সাইফুল ইসলাম                                  

মে মাসে রেমিট্যান্স এলো ২৯৭ কেটি ডলার

আপডেট : ০২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

ঈদের আগের মাস মেতে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। আর একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে গত ঈদের আগের মাস মার্চে। মূলত অর্থপাচার কমে যাওয়ায় হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমেছে। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় ব্যাপক বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৭৫১ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার। এর মানে ১১ মাসে বেশি এসেছে ৬১৩ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারভিত্তিক করার পরও ১২২ থেকে ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে ডলার। আগের মতো ডলার নিয়ে হাহাকার নেই ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থপাচারে ঠেকাতে কড়াকড়ি করছে সরকার। আগের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থপাচারে শীর্ষ সন্দেহভাজন শেখ হাসিনা পরিবার ও ১১ ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে ১১টি যৌথ তদন্ত চলমান আছে। এরই মধ্যে এসব ব্যক্তিদের ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে।

রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে যা কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে। আগে যেখানে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছিল, এখন বাড়ছে। টানা ২০ মাস পর গত এপ্রিল শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।