Hi

ঢাকা, বাংলাদেশ ০১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়পুরে বর্ষার শুরুতে মেঘনা নদীর ভাঙনে জনবসতি হুমকির মুখে

রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী অসংখ্য মানুষ, বসতভিটা ও স্থাপনা। প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে চরইন্দুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা।

নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা বলেন, প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

মেঘনা পাড়ের স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার আবেদন করা হলেও আজও স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর প্রবল স্রোতে ও পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙন আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাস করে নিবে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নের মানচিত্র।

নদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। রায়পুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইন্দুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে।

দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, উপজেলার মধ্যে চরকাচিয়া, চরইন্দুরিয়া ও জালিয়ারচরের মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।

তিনি আরও জানান, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক নিগার সুলতানা বলেন,’নদী ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা উপকূলবাসীর কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি অবগত নন তারা। রায়পুর কার্যালয়ের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানান।

ট্যাগ :

মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ই-মেইল সহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হবে।

About Author Information

© সর্বস্বত স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Jonogoner Khobor - জনগণের খবর
                                  কারিগরি সহযোগিতায়ঃ মো. সাইফুল ইসলাম                                  

রায়পুরে বর্ষার শুরুতে মেঘনা নদীর ভাঙনে জনবসতি হুমকির মুখে

আপডেট : ০৯:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী অসংখ্য মানুষ, বসতভিটা ও স্থাপনা। প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে চরইন্দুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা।

নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা বলেন, প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

মেঘনা পাড়ের স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার আবেদন করা হলেও আজও স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর প্রবল স্রোতে ও পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙন আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাস করে নিবে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নের মানচিত্র।

নদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। রায়পুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইন্দুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে।

দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, উপজেলার মধ্যে চরকাচিয়া, চরইন্দুরিয়া ও জালিয়ারচরের মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।

তিনি আরও জানান, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক নিগার সুলতানা বলেন,’নদী ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা উপকূলবাসীর কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি অবগত নন তারা। রায়পুর কার্যালয়ের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানান।