
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে শুক্রবার রাত ১০ টায় সাদুল্লাপুর উপজেলা চত্বরে অবস্থিত উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অফিস রুমের দরজা ভেঙ্গে কোষাধ্যক্ষ জনি বাবু (৪০) এর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার ধরমপুর গ্রামের মৃত হারুন অর-রশিদ এর ছেলে জনি বাবু তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সহকারী কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দুই স্ত্রী নিয়ে ছিলো তার সংসার প্রথম স্ত্রী ডলি বেগমের এক ছেলে এক মেয়ে ও দ্বিতীয় স্ত্রী সুমী বেগমের এক ছেলে সন্তান। প্রথম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জনি বাবু।
বরেন্দ্র কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী আবু তাহের মিয়া বলেন আমি নামাজ পড়তে বসেছিলাম এর মধ্যে রাত ৮ ঘটিকার দিকে উপজেলা মোড়ের ফটোকপি দোকানের কর্মচারী খলিল মিয়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠে জনি বাবু’র অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কাধাক্কি করেন কিন্তু কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে খলিল মিয়া তাকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি নিজেও গিয়ে কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করেও কোন প্রকার সাড়াশব্দ না পাওয়ায় উপজেলা পরিষদে অবস্থানরত আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্যদের কে বিষয়টি অবগত করেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম বলেন একগ্রাম পুলিশের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করা হয়।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজউদ্দীন খন্দকার জানান খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া জনি বাবু’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন উপজেলার ৯নং বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে লাজু মিয়ার কাছ থেকে জনি বাবু বেশকিছু টাকা ধার নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেন নাই। এদিকে দাদান ব্যাবসায়ী লাজু মিয়া টাকা ফেরত না পেয়ে জনি বাবু’র প্রথম স্ত্রী ডলি বেগমকে সুকৌশলে ভাগিয়ে নিয়ে জান। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনায় জনি বাবু আত্মহত্যা করেছেন।