,
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

আশুলিয়ায় টাকার লোভে বন্ধুকে খুন, গ্রেপ্তার ৩ বন্ধু

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩
  • ১৩৭ Time View

খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় টাকার লোভে ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২১) নামের এক বন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় তারই তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। এঘটনায় অপহরণের দশ দিন পর নিহতের মরদেহ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আশুলিয়ার মোজারমিলের শিববাড়ি এলাকার স্টান হাউজিং এর একটি পুকুর থেকে নিহতের ভাসমান বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে আশুলিয়ার জামগড়া, টাঙ্গাইল ও রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

নিহত মো. হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত ৮ মে জামগড়ার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মানিকগঞ্জের সদর থানার পশ্চিম দাস পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনর ছেলে ময়েজ হোসেন পরান (২২)। তিনি আশুলিয়ার জামগড়ায় শফিকের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ফার্ণিচারের দোকানে কাজ করতেন। গতকাল বুধবার রাত ১০ টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরজন হলেন বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার মহেশপাড়া গ্রামের মো. তাহেলুল ইসলাসের ছেলে সুমন মিয়া বাপ্পী (২৫)। তিনি আশুলিয়া শ্রীপুরে দারোগ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। তাকে বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪। এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর থেকে আকাশ নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় পোশাক শ্রমিক। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় নি।

র‌্যাব-৪ জানায়, গত ৮ মে সকাল ১০ টার দিকে পরাণ বন্ধু ফারাবী আহমেদ হৃদয়কে তার ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে জিম্মী করে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তবে সেদিন দুপুর তাকে হত্যা করে লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখে। পরে বিকাল ৪ টার দিকে শ্রীপুরের একটি পুকুরে বস্তাবন্দি করে লাশ ফেলে দেয়। দুই দিন পর আসামিরা আবার ওই পুকুরে লাশ ভেসে উঠেছে কিনা দেখতে যায়। তারা লাশ ভেসে উঠা দেখতে পেয়ে আবার লাশ উপরে তুলে ৮/১০ টি ইট বস্তার ভেতরে ভরে পুকুরে ডুবিয়ে দেয়।

র‌্যাব -৪ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, আসামিরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছিল। পক্ষান্তরে ভিকটিমের পরিবার সমৃদ্ধশালী ছিল। তারা ভিকটিমের ধনসম্পদ দেখে লোভে পরে যায় এবং পরিকল্পনা করে যে হৃদয়কে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে সকাল ১০ টার দিকে হৃদয়কে পরাণের বাসায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে দুপুরে হৃদয়কে ৪ জন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হতে বালিশ চাপা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ধরে রাখে আসামিরা। এদিন বিকেল ৪ টার দিকে তারা বস্তাবন্দি লাশ নিয়ে ওই পুকুরে ফেলে দেয়। তিনি বলেন এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে বন্ধু নির্বাচনে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Jonogonerkhobor - জনগণের খবর পোর্টালের প্রয়োজনীয় লিংকসমূহ :

About Us

Contact Us

Privacy Policy

Disclaimer

Terms and Conditions

© All rights reserved © 2022 Jonogoner Khobor - জনগণের খবর
Design & Developed by: Sheikh IT
sheikhit
error: Content is protected !!