মিলন ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বয়সের ভারে নুয়ে পরেছেন মরনী রাজবংশী । এখন আর চলাফেরা করতে পারেন না ঠিকমতো। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে বিছানায় শুয়ে। স্বামী বেঁচে থাকতে কোনোমতে দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। এখন সন্তানরাও দেখভাল করতে পারে না ঠিকমত । চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা, তিন বেলা আহার জোটানোই মুশকিল বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া এ বৃদ্ধার!
একটু সচ্ছলতার জন্য বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে ধর্ণা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।
অসহায় জীবনযাপন করা বাসাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের মৃত মোছিরাম রাজবংশীর স্ত্রী মরনী রাজবংশীর ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড। এখন তার দিন কাটছে অতিকষ্টে। প্রতি সপ্তাহে ৩০০-৪০০ টাকার ওষুধ লাগলেও টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ১৯২৯ সালে ১০ আগস্ট মাসে জন্ম মরনী রাজবংশীর। এতে তার বয়স এখন ৯৪ বছর। সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও জীবিত থাকাকালীন কখনও স্ত্রীকে কাজ করতে দেননি স্বামী মোছিরাম । তিন ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের মধ্যে সবার বিয়ে হয়ে গেছে। দুই ছেলে অনেক আগে মারা গেছে।
স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য জায়গার ওপর কোনো মতে টিনের ছাপড়াঘরে বসবাস করেন মরনী রাজবংশী ।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মরনী রাজবংশী বলেন, ‘বয়স তো অনেক হলো। কখন মরি, কখন বাঁচি তার তো ঠিক নাই! অনেক অভাবের মাঝেও কখনো কারও কাছে হাত পাতিনি। আশপাশের অনেকেই ভাতার টাকা পায়। কিন্তু আমি পাই না! কার্ডের জন্য কতবার মেম্বার-চেয়ারম্যানকে (পূর্বে যারা ছিলেন) বলেছি। কিন্তু করে দেয়নি। আর কত বয়স হলে ভাতার কার্ড পাব আমি?’
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেল বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আমি অবশ্যই উনার (মরনী রাজবংশী ) বাড়িতে যাব এবং খুব তাড়াতাড়ি ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নূরে- ই- লায়লা বলেন, বিষয়টি আমার গোচরে আসেনি।যত দ্রুত সম্ভভ তার ভার্তার কার্ড করে দিবো।