আশিকুর রহমান: চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজারের এক সংখ্যালঘু স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানী ইউপি চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বাহিনীর সদস্যরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটেছে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের ডাংগা বাজারে। আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী হলেন জহর লাল নন্দী। তিনি একই উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার সুবাস নন্দীর ছেলে।
আহত জহর লাল নন্দী জানান, ডাংগা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী জহর লাল নন্দীর কাছে প্রায় সময়ই স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে টাকা নিতেন ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই এর বিশ্বস্থ হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত রাজু ও জসিম। কিছু দিন পর এসে টাকা না দিয়ে বন্ধকী স্বর্ণ জোর পূর্বক নিয়ে যেতো। গত দুই তিন আগে রাজু আবারো আসেন স্বর্ণ বন্ধক রাখতে, এসময় জহর লাল নন্দী বন্ধক রাখতে অস্বীকার করেন। বন্ধক রেখে টাকা না দিলেও আমাকে চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে যান রাজু। এরই জের ধরে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজু ও জসিম জহর লাল নন্দীর দোকানে এসে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। জহর নন্দী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে দেশীয় অস্ত্র রাম দা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় দোকানে উপস্থিত ডালিম নামের একজন ক্রেতা বাধা দিতে গেলে তাকে ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে দোকান থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি স্বর্ণ ও ৩ /৪ লাখ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যান।
তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জহর লাল নন্দীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে আহত পথচারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও গুরুতর আহত জহর লাল নন্দী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আইনগত ব্যবস্থার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
চেয়ারম্যান বাহিনির দুর্ধর্ষ হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত রাজু হাসনহাটা গ্রামের আক্তারের ছেলে ও জসিম একই এলাকার জামালউদ্দিন এর ছেলে।