মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ,মাংস ও সবজির দাম।এতে করে স্থির আয়ের মানুষ পড়েছেন অস্বস্তিতে।ছুটির দিনে ব্যাগ ভর্তি বাজারের আমেজ এখন আর নেই। খরচের চাপে চিরে চ্যাপটা সাধারণ মানুষরা।ঘুরে ফিরে তুলনা মুলক কম দামের সবজি কিনে ঘরে ফিরছেন অনেকে।বলছেন!দাম বেশী এবং অযৌক্তিক দামের ফারাক ভুল গেছেন ব্যবসায়ীরা।স্বস্তি নেই গরুর মাংস কিংবা মুরগীর বাজারেও।চাহিদা বেড়েছে চাষের মাছের।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরএলাকার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে।খাসির মাংস ৯০০টাকা।যা কেজিতে কয়েক দিনে বেড়েছে ৫০টাকা।এদিকে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্থির ব্রয়লার মুরগি আর ডিমের দাম।প্রতি কেজি ব্রয়লার এখন ২৪০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর হালি প্রতি ডিমের দাম ৪০টাকা।
সরকারি বে-সরকারি চাকুরীজীবি কিছু ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়,মাছ,মাংস,ডিম,ব্রয়লার মুরগী,সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় মাসে যে পরিমান খরচ দরকার হয় এই বেতনে সে পরিমান খরচ কিনতে এখন টান পড়ছে।কখনো একসাথে পণ্যের দাম এভাবে বেড়ে যেতে দেখেননি তারা।
রিক্সা চালক রব্বানি বলেন,আমার সংসারে আমরা ৬জন সদস্য।সারা দিনে রিকশা চালিয়ে আসে ৪০০-৫০০টাকা।যা দিয়ে কিছুই হয় না।অন্য দিকে অসুস্থতাতো লেগেই আছে।প্রতিদিনই ঔষধ কিনতে হয়।খেয়ে না খেয়ে দিন চলছে আমাদের।আমাদের যেন দেখার কেউ নেই।মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দা, গুঁড়া দুধসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে।এদিকে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮২-৮৪ টাকা দরে বুটের ডাল ৯০ এবং মাসকলাইয়ের ডাল ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।তবে রোজাকে কেন্দ্র করে আমদানি পর্যায়ে দাম তদারকি জোরদার করার দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে বাজারে শীতের সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আর গ্রীষ্মের যে নতুন সবজি এসেছে তাতে হাত দেওয়ার অবস্থা নেই। প্রতিকেজি টমেটো ৩০ টাকা,করলা ৭০-৮০ টাকা,পটল ৬০,কাচা মরিচ ৮০,বরবটি ৮০ টাকা,সজিনা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম। প্রতিকেজি আদা-রসুন মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা দরে।