আর করিম চৌধুরী, কক্সবাজার: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’র মধ্যে যৌথ টহল এবং পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সাড়ে ৯টার দিকে(বিএসটি) সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সকল প্রকার প্রটোকল মেনে সীমান্তের শূন্য লাইনে নাফ নদীতে বিজিবি-বিজিপি পর্যায়ে যৌথ টহল পরিচালনা করা হয়।
উক্ত যৌথ টহলে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি টহল দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। আর বিজিবিএম এবং মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)’র ১২ সদস্যের টহলদলের নেতৃত্ব দেন বর্ডার গার্ড পুলিশ পিইন ফিউ ১ নম্বর ব্রাঞ্চ পুলিশের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঐকান্তিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এবং গত ৩০ অক্টোবর ২০২২ইরেজি বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়নকমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে উভয় দেশের সম্মতিতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারীর লক্ষ্যে এই যৌথ টহল শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। যার ফলে সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
যৌথ টহল পরিচালনার ফলে নাফনদীতে যে সকল দ্বীপ বাংলাদেশ-মায়ানমার আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর অবস্থিত এবং যে সকল দ্বীপ দুষ্কৃতিকারী অথবা চোরাকারবারীদের অভয় আশ্রম হিসেবে ব্যবহার হতো দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে সে সকল দ্বীপে স্ব-স্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে। ভবিষ্যতেও বন্ধু প্রতীম দুইটি রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে। এই যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান রাখার মাধ্যমে নিজস্ব সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। পরিশেষে পারস্পপরিক বিদায়ী শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে যৌথ সমন্বিত টহল অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুপুরের দিকে সমাপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ ২০২০ইং থেকে প্রায় ৩ বছর বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯’র প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে মায়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের মধ্যে যৌথ টহল বন্ধ ছিল, যা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিরূপ প্রভাব ফেলে।