আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শাখার সংখ্যা আরো কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের লয়েডস ও হ্যালিফ্যাক্স ব্যাংক। ব্যাংক দুটির মালিক প্রতিষ্ঠান লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপের পক্ষ থেকেফ বলা হয়েছে, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। অনলাইনেই সব ধরনের কাজ সম্ভব হওয়ায় ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোয় ক্রমেই কমছে গ্রাহকের সরাসরি সেবা গ্রহণের সংখ্যা। এ কারণে যুক্তরাজ্য ও ওয়েলসে ব্যাংক দুটির আরো ৪০টি শাখা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
কয়েক বছর ধরেই ব্যাংকিং খাতে কৃচ্ছ্রসাধন চলছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের হাজারো শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত জুলাইয়ে লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপ জানায়, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৬টি শাখা বন্ধ করে দেয়া হবে।
সবশেষ ঘোষণায় গ্রুপটি জানিয়েছে, হ্যালিফ্যাক্সের ১৮টি শাখা বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে লয়েডসের বন্ধ হবে ২২টি শাখা। এসব শাখার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। তবে ওয়ালসের ব্যাঙ্গর শাখাটি বন্ধ করছে হ্যালিফ্যাক্স। তবে এসব শাখা বন্ধের কারণে কাজ হারাবেন না কোনো কর্মী। এছাড়া যে শাখাগুলো বন্ধ হচ্ছে সেগুলোর কাছাকাছি এলাকায় বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য ক্যাশ মেশিন বা পোস্ট অফিস রয়েছে।
লয়েডস ব্যাংকিং গ্রুপ বলছে, যুক্তরাজ্যে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে আগ্রহী গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। বেশির ভাগ গ্রাহক এখন অনলাইনেই সব কাজ সেরে ফেলতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে যেসব শাখায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রাহকদের যাতায়াত কমেছে সেগুলোই ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। গ্রুপটির এক মুখপাত্র বলেন, ব্যাংকের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে শাখা অফিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সেগুলো যেন যথাযথ স্থানে স্থাপন ও উপযোগী হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
লয়েডস ব্যাংকের যেসব শাখা বন্ধ করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে নরবারি, বেকেনহ্যাম, চিংফোর্ড, লন্ডনের ম্যারিলেবুন হাই স্ট্রিটের শাখা, ওয়েব্রিজের চার্চ স্ট্রিট শাখা, লিটলহ্যাম্পটনের বিচ রোড শাখা ইত্যাদি। এছাড়া হ্যালিফ্যাক্সের যে শাখাগুলো বন্ধ হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নরবারির লন্ডন রোড শাখা, লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটের শাখা, গ্রেসের হাই স্ট্রিট শাখা ইত্যাদি।