Hi

ঢাকা, বাংলাদেশ ১১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াঘাটে বালুখেকোদের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে বসতবাড়ি-ফসলি জমি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করতোয়া নদীতে থামছেনা বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য। অবাধে বালু তোলায় হুমকির মুখে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, সড়ক ও বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রসাশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।

উপজেলার সালিকাদহ, কুলানন্দপুর, বৈদর, ভর্ণাপাড়া, গুয়াগাছি টঙ্গীসহ অন্তত ২০ পয়েন্টে নির্বিচারে চলছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। এসব এলাকাতে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু।

অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। যার ফল নদী ভাঙন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কেউ বাঁধা দিলে আসে হুমকি ধামকি। ফলে অনেকে কথা বলতে চাইলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না।

এলাকাবাসী বলছেন, বছরের পর বছর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। উত্তোলন বিক্রি দুটোর সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরা। উত্তোলন বন্ধে বার বার অভিযান চালিয়েও বন্ধ হচ্ছে না উত্তোলন।

অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারী সিংড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাফিনুর ইসলাম কাফি মুঠোফোনে জানান, আমি প্রতিদিন দশ বারো গাড়ি করে বালু উত্তোলন করেছিলাম। কয়েক দিন ধরে আর উত্তোলন করছি না। তবে পাশেই বালু উত্তোলন চলছে।

যদিও ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তাদের অভিযান অব্যহত আছে। করা হচ্ছে জরিমানা।

তিনি আরও জানান, অভিযানের খবর তাঁরা আগেই পেয়ে যান। যার কারণে বেশীরভাগ অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়। তারপরও এই অভিযান চলতে থাকবে বলে তিনি জানান।

মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ই-মেইল সহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হবে।

About Author Information

© সর্বস্বত স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © Jonogoner Khobor - জনগণের খবর
                                  কারিগরি সহযোগিতায়ঃ মো. সাইফুল ইসলাম                                  

ঘোড়াঘাটে বালুখেকোদের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে বসতবাড়ি-ফসলি জমি

আপডেট : ০১:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার করতোয়া নদীতে থামছেনা বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য। অবাধে বালু তোলায় হুমকির মুখে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, সড়ক ও বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রসাশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।

উপজেলার সালিকাদহ, কুলানন্দপুর, বৈদর, ভর্ণাপাড়া, গুয়াগাছি টঙ্গীসহ অন্তত ২০ পয়েন্টে নির্বিচারে চলছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। এসব এলাকাতে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু।

অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। যার ফল নদী ভাঙন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কেউ বাঁধা দিলে আসে হুমকি ধামকি। ফলে অনেকে কথা বলতে চাইলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না।

এলাকাবাসী বলছেন, বছরের পর বছর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। উত্তোলন বিক্রি দুটোর সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরা। উত্তোলন বন্ধে বার বার অভিযান চালিয়েও বন্ধ হচ্ছে না উত্তোলন।

অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারী সিংড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাফিনুর ইসলাম কাফি মুঠোফোনে জানান, আমি প্রতিদিন দশ বারো গাড়ি করে বালু উত্তোলন করেছিলাম। কয়েক দিন ধরে আর উত্তোলন করছি না। তবে পাশেই বালু উত্তোলন চলছে।

যদিও ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তাদের অভিযান অব্যহত আছে। করা হচ্ছে জরিমানা।

তিনি আরও জানান, অভিযানের খবর তাঁরা আগেই পেয়ে যান। যার কারণে বেশীরভাগ অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়। তারপরও এই অভিযান চলতে থাকবে বলে তিনি জানান।